জামালপুরের মেলান্দহে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় ৪জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

৬ মার্চ সোমাবার সকালে মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়েন সিড়িঘাট তেঘরিয়া এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষ আনসার সদস্য শাশীমের গংদের মারধরের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ।

আহতেরা হলেন, ওই এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়ার হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৭০) ছেলে ফিরোজুল ইসলাম আলামিন (২৮) ছেলে বউ রুবিনা বেগম (২২) ও একরামুল (৫৫) তারা মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,’মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিটাবাড়ির জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ মৃত আব্দুছ সামাদের ছেলে আনসার সদস্য শামীমের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি দখলে চেস্টা করে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়।’

আহত ফিরোজা বেগম বলেন,’আমরা ২৪ বছর ধরে ওই জায়গায় বাড়ি করে আছি। বাড়ি করার পর থেকেই ওই বাড়ি ভিটা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ করে ওরা। এর আগেও কয়েকবার দখল করার চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘর থেকে কোরআন শরীফ পড়ে বের হয়ে দেখি তারা আমাদের মারার পায়তারা করছে। তাঁর কিছুক্ষণ পরেই আমার ছেলে ও ছেলে বউ মারধর শুরু করে। পরে আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারধর করে।’

আহত ফিরোজুল ইসলাম বলেন,’আমাদের থাকার ঘর ঠিক করতে ছিলাম। আমার বউকে প্রথমে মারধর শুরু করে। পরে আমি আগিয়ে গেলে আমাকেও শামীম ও সাজু মারধর শুরু করে।
আমার মা ও মামা ছাড়াতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। শামীম আনসারের চাকরি করে।
তাঁরা জোর করে আমাদের বাড়ি ভিটা দখল করতেছে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনসার সদস্য শামীম হোসেন জানান, আমি ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। তাঁরা আজ ঘর তুলতেছিলো। আমি বলেছিলাম যে আমাদের একটা অনুষ্ঠান শেষে তাঁদের ঘর তুলতে। তারা যে ঘর তুলতেছিলো তাতে আমার ঘরের ভিতরে পানি চলে আসতো। তারা প্রথমেই আমার মেয়েকে আঘাত করে।’

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন,’এ বিষয়টি মাত্রই শুনলাম, অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’